Wellcome to National Portal
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় (ভূতপূর্ব সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়) দেশের সার্বিক পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত। মন্ত্রণালয়ের ৮/৯০(অংশ-১)/৬১৮, তারিখঃ ১৪-০৯-১৯৯৪ খ্রিঃ স্মারক অনুযায়ী ভূতপূর্ব সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়কে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় হিসেবে নামকরণ করা হয় । এ মন্ত্রণালয় পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং এর আওতাধীন দপ্তরসমূহের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সকল প্রকার নীতি, পরিকল্পনা, কর্মকৌশল, নির্দেশমালা এবং আইন, বিধি-বিধান, রেগুলেশন ইত্যাদি প্রণয়ন করে থাকে। এ মন্ত্রণালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও নিষ্কাশন, নদীতীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ, ব-দ্বীপ উন্নয়ন, ভূমি পুনরুদ্ধার ইত্যাদি বিষয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যারেজ, রেগুলেটর, স্লুইস, খাল, বেড়িবাঁধ, রাবার ড্যাম, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও খাল খনন-পুনঃখনন করে সেচ, জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্যা প্রতিরোধ, নদীর তীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার ইত্যাদি সেবাসমূহ প্রদান করে থাকে।

 

কর্ম-পরিধি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রুলস অব বিজনেস এর এলোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্ম-পরিধি নিম্নরুপঃ 

১. নদী ও নদী উপত্যকাসমূহের নিয়ন্ত্রণ/ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন;

২. সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ জলাবদ্ধতা নিরোধ, পানি নিষ্কাশন ও ভাঙ্গন প্রতিরোধকল্পে কর্মপন্থা/নীতিমালা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা

    প্রদান;

৩. সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, বন্যার কারণ, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সংশ্লিষ্ট সমুদয় বিষয়াবলী যা সেচ প্রকল্পসমূহ

    এবং বাঁধের সাথে সম্পৃক্ত;

৪. নদী ও নদী উপত্যকাসমূহ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মৌলিক, ভিত্তিগত/মুখ্য এবং প্রায়োগিক গবেষণা;

৫. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি সম্পদ উন্নয়ন খাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা;

৬. সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কমিশন এবং সম্মিলন;

৭. পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকল্পের আওতায় খাল খনন এবং রক্ষনাবেক্ষণ; খাল খনন কর্মসূচির অধীনে পানি ব্যবস্থাপনায়

    বাস্তবায়িত/বাস্তবায়নাধীন অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষণ;

৮. মৃত্তিকা সংরক্ষণ, পানি নিষ্কাশন এবং জলাবদ্ধতা;

৯. পানি সংরক্ষণ, জলাধার, বাঁধ ও ব্যারেজ নির্মাণ;

১০. ভূমি পুনরুদ্ধার, নদীর মোহনা নিয়ন্ত্রণ;

১১. লবনাক্ততা ও মরুকরণ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম;

১২. হাইড্রোলজিকাল জরিপ এবং উপাত্ত সংশ্লিষ্ট;

১৩. যৌথ নদী কমিশন, যৌথ কমিটি, স্ট্যান্ডিং কমিটি ইত্যাদি এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী;

১৪.   প্রশাসনিক সচিবালয় এবং আর্থিক বিষয়াবলী;

১৫. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন অধিদপ্তর- দপ্তর- সংস্থাসমূহের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ;

১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যাস্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে মৈত্রী স্থাপন এবং বিভিন্ন দেশের-বৈশ্বিক সংস্থার

      সাথে সমঝোতা-চুক্তিকরণ;

১৭. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সমুদয় আইন;

১৮. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যাস্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান ও পরিসংখ্যান;

১৯. কোর্ট ফি ব্যতীত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যাস্ত যেকোন বিষয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকার ফি;

 

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছে একজন কেবিনেট মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী। সরকারি রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মাননীয় মন্ত্রীদ্বয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ড বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রণালয়ে একজন  সচিব রয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ/সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ যথাঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ  হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন; বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (ঈঊএওঝ) এর কর্মকান্ড আইন অনুযায়ী নিষ্পন্ন করেন। এছাড়াও, প্রিন্সিপাল একাউন্টিং অফিসার হিসেবে সচিব মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ/সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের ব্যয়ের যথার্থতা নিশ্চিতকরণের দায়িত্বও পালন করেন। 
মন্ত্রণালয়ের সকল কার্য্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ৪টি অনুবিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো: (১) প্রশাসন অনুবিভাগ, (২) উন্নয়ন অনুবিভাগ, (৩) পরিকল্পনা অনুবিভাগ এবং (৪) বাজেট ও অডিট অনুবিভাগ।